খাঁটি খেজুরের গুড় চিনব কিভাবে - সহজ উপায়ে আসল গুড় শনাক্ত করার কার্যকর উপায়

বাংলাদেশে শীত মানেই খেজুরের রস আর সেই রস থেকে তৈরি খাঁটি গুড়ের স্বাদ যেন শৈশবের স্মৃতি বিশেষ করে পিঠা-পায়েস, নাড়ু, দুধ-ভাত কিংবা চিরায় খাওয়ার ক্ষেত্রে খেজুর গুড়ের তুলনা হয় না।কিন্তু বাস্তবতা হলো বাজারের একটি বড় 

খাঁটি-খেজুরের-গুড়

অংশের গুড়েই মিশানো হয়ে থাকে চিনি, কেমিক্যাল, রং বা ইনজেক্টেড ফ্লেভার। ফলে না শুধু স্বাদ নষ্ট হয় আমাদের স্বাস্থ্যের ওপরও পড়ে ভয়ানক প্রভাব। তাই প্রশ্ন একটাই খাঁটি খেজুরের গুড় চিনব কিভাবে? আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানবো কীভাবে খাটি খেজুরের গুড় চিনতে হয়।

পেজ সুচিপত্র: খাঁটি খেজুরের গুড় চিনব কিভাবে

খেজুরের গুড় ভেজাল হয় কেন?

আপনারা অনেকেই ভাবতে পাড়েন ভাই, গুড়ের কী ভেজাল হবে? বাস্তবে বিষয়টি খুবই সহজ। গুড়ের মধ্যে ভেজাল দেওয়ার মূল কারণ বেশি লাভের আশায়। খাটি গুড় তৈরি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল তাই অনেক অসাধু ব্যবসায়ী চিনি, রং মিশিয়ে সস্তায় বানিয়ে বিক্রি করেন। অনেকে আবার খারাপ মানের রস ব্যবহার। ভালো রস পেতে খেজুর গাছ সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হয়।

রসের মান যদি খারাপ হয় তবে গুড় খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। অনেকে চটকদার রঙ দেখিয়ে গ্রাহক আকর্ষণ। আমরা অনেকেই ধরে নিই রঙ বেশি হলেই খাঁটি বেশি। আবার সংরক্ষণের সময় নষ্ট হওয়া ঠেকাতে কেমিক্যাল যোগ করা হয়। যাতে গুড় দ্রুত ছত্রাক না ধরে। এতে গুড়ের গুনগত মান একেবারেই কমে যায়।

খাঁটি খেজুরের গুড় চিনব কিভাবে?

  • রঙ দেখে
  • গন্ধ পরীক্ষা করে
  • স্বাদ গ্রহন করে
  • গঠন বা টেক্সচার দেখে
  • গলন প্রক্রিয়া দেখে 

খাঁটি খেজুরের গুড় চিনার সহজ উপায় 

রঙ দেখে খাঁটি গুড় পরীক্ষা করুন

বেশির ভাগ গুড় খাঁটি কিনা তা গুড়ের রঙ দেখেয় বুঝা যায়। ভালোভাবে গুড় পরীক্ষা করলেই আপনি বুঝতে পারবেন গুড় খাঁটি কিনা। খাঁটি গুড়ের রং সবসময় হালকা বাদামী থেকে গাঢ় ব্রাউন এবং প্রাকৃতিক দেখাবে। গুড়ের উপরে কোনো কালো বা সাদা দাগ থাকবে না। এবং দেখতে লোভনীয় লাগবে। অপরদিকে যদি ভেজাল গুড় দেখতে যান তবে তা দেখতে হবে অতিরিক্ত চকচকে বা খুব গাঢ় কালচে আবার কখনও খুব বেশি হলদে। গুড়ের উপর সাদা সাদা ছোপ দাগ থাকতে পারে। তাই গুড় কেনার আগে এই বিষয় গুলো ভালো করে দেখে নিবেন।

খেজুরের গুড়ের গন্ধ পরীক্ষা করুন

খাঁটি খেজুরের গুড়ে থাকে প্রাকৃতিক খেজুরের রসের মিষ্টি সুবাস। সাথে হালকা ধোয়াটে গন্ধ। তবে ধোয়াটে গন্ধ যদি বেশি থাকে তবে বুঝবেন গুড় জাল দেওয়ার সময় বেশি পুড়ে গেছে। এমন হলে সেই গুড় কেনা থেকে বিরত থাকুন। নয়তো পেটের নানান রকম সমস্যা হতে পারে। অন্যদিকে ভেজাল গুড়ে তেমন সুগন্ধ পাওয়া যায় না। পুড়া বা কেমিক্যালের গন্ধ পাওয়া যেতে পারে। তাই গুড় কেনার সময় বিষয়টি পর্যাবেক্ষ করে নিবেন।

গুড় মুখে ‍দিয়ে স্বাদ পরীক্ষা করুন

খাঁটি গুড় মুখে দিলে নরমভাবে গলে যাবে এবং একটি আলাদা প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। খাঁটি গুড় মুখে দিলেই আলাদা একটা নরম ও মোলায়েম স্বাদ পাওয়া যায় যা ভেজাল গুড়ে পাবেন না। যদি মুখে দিয়ে অতিরিক্ত কড়া মিষ্টি স্বাদ পান তাহলে বেশির ভাগ চান্সই থাকে গুড় ভেজাল হওয়ার। কারণ তাতে চিনি মিশানো থাকে।

ভেজাল গুড়ে একটা তেতো বা অতিরিক্ত চিনি জাতীয় স্বাদ থাকে। গুড় মুখে দিলেও চিনির মত দানা দানা হয়ে থাকে। তাই গুড় কেনার আগে অবশ্যই মুখে দিয়ে দেখবেন যে স্বাদ কেমন যদি অনুমতি থাকে। বিনা অনুমতিতে কারো জিনিসে হাত দেওয়া উচিত না। তাই বিক্রেতাকে আগে জিজ্ঞাসা করে অনুমতি নিয়ে নিবেন। 

খাঁটি গুড় চাপ দিলে কিছুটা নরম হবে

খাঁটি গুড় চাপ দিলে সাধারনত নরম হয়। খাঁটি গুড় সহজেই হাতের চাপ দিয়ে ভেঙে দেওয়া যায় এবং সমান ভাবে ভাঙে আর অনেক নমনীয় হয়। অপরদিকে ভেজাল গুড় শক্ত ও চিটচিটে হতে পারে। চিনি মেশানো থাকলে হাত দিয়ে চাপ দিলে ভঙ্গুর ও খসখসে লাগবে।আর ভেজাল গুড় ভাঙার সময় গুড়া গুড়া হয়ে যাবে।

খেজুরের গুড় পানিতে ফেলে দেখুন

প্রথমেই এক টুকরো গুড় পানিতে ফেলুন। খাঁটি গুড় যদি হয় তবে ধীরে ধীরে গলবে এবং পানিকে হালকা বাদামী করবে। আর যদি ভেজাল গুড় হয় তবে দ্রুত পানিতে রঙ ছড়াবে। যা প্রমাণ করে তাতে রং মেশানো হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে গুড় গলে না। গুড় পানির সাথে না গলে গেলে বুঝবেন চিনি বা কেমিকেল মিশানো আছে।

উৎস ও মূল্য যাচাই করুন

হ্যা ঠিকই শুনেছেন! মূল্য দিয়েও অনেক সময় গুড় খাঁটি  কিনা তা যাচাই করা যায়। খেজুরের গুড় তৈরি করা কষ্ট সাধ্য ও সময় সাপেক্ষ তাই খুব কম দামে বিক্রয় হলে সন্দেহ করুন। খাঁটি গুড় সাধারণত একটু বেশি দামে বিক্রি হয়। গুড় কেনার সময় চেষ্টা করবেন গ্রামের পরিচিত গাছি বা বিশ্বস্ত দোকান থেকে সংগ্রহ করার। তাহলে গুড় খাঁটি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। 

খাঁটি খেজুর গুড়ের ভালো বৈশিষ্ট্য

  • প্রাকৃতিক সুবাসযুক্ত হবে
  • মুখে নিলে সহজে গলে যাবে
  • কোনো চিটচিটে ভাব থাকবে না
  • রং জ্বলজ্বলে নয়, স্বাভাবিক রঙের হবে
  • টুকরো করলে সমানভাবে ভেঙে যাবে

খাঁটি খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা

খাঁটি খেজুরের গুড় একটি প্রকৃতিক মিষ্টির উৎস। চিনির থেকে হাজার গুনে বেশি পুষ্টি উপাদান আছে খেজুরের গুড়ে। এটি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। প্রাকৃতিক সুগার, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ভিটামিন থাকে, যা শরীরকে শক্তি যোগায় এবং অসংখ্য উপকার করে। তবে খেয়াল রাখবেন যে গুড় যেন খাটি হয়। 

ভেজাল গুড় কিন্তু অনেক অংশে চিনির থেকেও ক্ষতিকর। তাই গুড় কেনার সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন। গুড় খাওয়ার সময় অবশ্যই পরিমান মতো খাবেন কারন কোনো কিছুই অতিরিক্ত ভালো না। আসুন খেজুরের গুড়ের প্রধান কিছু উপকারিতা জেনে নিয়।

শরীরে শক্তি জোগায়: খাঁটি খেজুর গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক সুগার শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে। শীতকালে ঠান্ডাজনিত ক্লান্তি দূর করতে এটি খুবই কার্যকর। আবার গুড়ের চা খেলেও অনেক আরাম পাওয়া যায় ঠান্ডাজনিত কারনে।
খাঁটি-খেজুরের-গুড়
হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: খাঁটি খেজুরের গুড়ে উপস্থিত এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পর খেজুরের গুড় হজমে সাহায্য করে। আমাদের উচিত অন্তত শীতকলে খেজুরের গুড় খাওয়ার চেষ্টা করা।

রক্তাল্পতা প্রতিরোধ: খেজুর গুড় আয়রনের একটি ভালো উৎস। নিয়মিত খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা দূর হয়। তবে পরিমানে বেশি খাওয়া উচিত না। এতে আবার রক্তের হিমোগ্লোবিন বেড়ে যেতে পারে।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়: খাঁটি গুড়ে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও খনিজ উপাদান মস্তিষ্কের জন্য জ্বালানি হিসেবে কাজ করে যা মনোযোগ বৃদ্ধিতে ও মানসিক শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ছোট বাচ্চাদের খাওয়া বেশ উপকারী।

হাড় ও দাঁত মজবুত করে: এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় ও দাঁতকে শক্ত করে এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক। 

লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়ক: খাঁটি খেজুরের গুড় শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। খাবার হজম হতেও সাহায্য করে।

ঠান্ডা-কাশি কমায়: শীতকালে গরম খেজুরের গুড় শরীর গরম রাখে এবং ঠান্ডা-কাশি দূর করতে সাহায্য করে। গরম দুধের সাথে গুড় খেলে কাশি থেকে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়। আবার গুড়ের চা খেতে পারেন নিয়মিত।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: চিনি বা ক্ষতিকর মিষ্টির পরিবর্তে খাঁটি খেজুর গুড় খাওয়ার অভ্যাস করলে অতিরিক্ত ক্যালোরি বাড়ে না এবং পরিমিত সেবনে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। চাইলে ডায়েট চার্টের সাথে খাঁটি খেজুরের গুড় যুক্ত করতে পারেন। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: খেজুর গুড়ে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত পারিমান ঠিক রেখে খেজুরের গুড় খেলে টুকিটাকি অসুস্থতা থেকে মুক্ত থাকা যায়।

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: খেজুরের গুড়ে থাকা ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রক্তসঞ্চালন উন্নত করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ও চুলের গুণগতমান বাড়াতে সহায়ক। চুল পড়ার সমস্যা থেকেও অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।

বাড়িতেই খাঁটি খেজুরের গুড় তৈরির সম্পূর্ণ ধাপ

বাড়িতে খেজুরের গুড় তৈরি করা কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ হলেও একবার তৈরি হয়ে গেলে তা বাজারের থেকে খাঁটি ও বাজারের তুলনায় গুণে ভালো হয়। খেজুরের গুড় তৈরির জন্য প্রথমেই প্রয়োজন ভালো মানের রস। গাছি সাধারণত সন্ধ্যার দিকে গাছের গায়ে কেটে মাটির ভার বা কলস বেধে দেন। সারারাত কলসে রস জমা হয়। ভোরে কলস খালে খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয়। 

এবার রস একটি পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে ছেকে নিন যাতে ময়লা বা পোকামাকড় না থাকে। আর খেয়াল রাখবেন যেন গাছে কলস ভালোভাবে ঢাকা থাকে। এই বার রস ফুটানো শুরু করতে হবে। ছাঁকা রস একটি বড় হাঁড়ি বা পাত্রে ঢালুন দিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। ধীরে ধীরে রস ফুটতে শুরু করবে এমন অবস্থায় নারতে থাকুন নয়তো রস পুড়ে যাবে।
খাঁটি-খেজুরের-গুড়
ফুটতে ফুটতে রস ধীরে ধীরে ঘন তরলে পরিণত হবে। এ পর্যায়ে পাত্রের নিচে পুড়ে না যাওয়ার জন্য ক্রমাগত নেড়ে যেতে হবে। এবার গুড়ের ঘনত্ব পরিক্ষা করতে হবে। এই সময় অনেকেই ভুল করে তাই সাবধানতার সাথে পরিক্ষা করুন। সামান্য গুড় একটি প্লেটে ফেলে একটু ঠাণ্ডা করুন। যদি আঙুল দিয়ে ধরলে আঠালো ও সামান্য জমাট ধরনের হয় তাহলে ধরে নিন যে আপনার গুড় তৈরি। 

গুড় প্রস্তুত হলে তা ছাচে ঢেলে নিন। ঠাণ্ডা হলে এটি শক্ত হয়ে গুড়ের আকারে রূপ নেবে। গুড় রেডি! এখন আপনি খাবেন ফ্রেশ খাঁটি ঘরে তৈরি খেজুর গুড়। যা বাজারের কিনা গুড়ের থেকে হাজার গুন ভালো হবে। তবে টাটকা রস ব্যবহার করবেন, কোনোভাবেই চিনি বা ফুড কালার ব্যবহার করবেন না আর সাবধানতার সাথে তৈরি করবেন তবে ইনশাআল্লাহ আপনার তৈরি গুর হবে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ। 

খেজুরের গুড় খাওয়ার অপকারিতা

অতিরিক্ত পরিমান খেজুরের গুড় খেলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হজম ও অঙ্গহানির মতো রোগ ও হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন যে পরিমানে ঠিক রেখে গুড় খাওয়ার। আবার ভেজাল গুড় খেলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুকি হতে পারে তাই গুড় খাওয়ার সময়ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। তবে খাটি এবং পরিমানে ঠিক রেখে গুড় খেলে নিঃসন্দেহে তা আপনার জন্য উপকারি। 

খেজুর গুড় ব্যবহারের বিভিন্ন উপায়

  • দুধ বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন
  • পিঠা ও মিষ্টি তৈরিতে ব্যবহার
  • হলুদ দুধ বা সুগন্ধি পানীয়তে মিশিয়ে খাওয়া
  • ডেজার্ট ও কেকের উপাদান হিসেবে ব্যবহার
  • দই বা স্মুদি মিষ্টি করার জন্য
  • রাতের খাবারের পরে হজম ও এনার্জি বুস্টার হিসেবে

খেজুরের গুড় সারা বছর সংগ্রহ করার নিয়ম

খেজুরের গুড় শুধু শীতকালেই পাওয়া যাওয়ায় সারা বছর এর আনেক চাহিদা থাকে। এমনকি শীতকাল শেষে গুড়ের দাম বেড়ে যায় অবিশ্বাস্য ভাবে। তাই আপনি চাইলে গুড় কীনে সারা বছর সংরক্ষন করতে পারেন। সংরক্ষনের জন্য মাটির, কাচ বা স্টেইনলেস স্টিলের পাত্র ব্যবহার করুন। তবে দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের জন্য কাচের পাত্র সবচেয়ে ভালো।

বয়ামের ঢাকনা ভালে করে লাগিয়ে শীতল, শুকনো ও অন্ধকার জায়গা সংরক্ষণের জন্য রাখুন। খুব গরম বা ঠান্ডা জায়গায় রাখলে গুড় নষ্ট হওয়ার সম্ভবনায় বেশি। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে খেজুর গুড় ৬–১২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। এবং খাওয়ার বা ব্যবহারের সময় সরাসরি হাত ব্যবহার না করে পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করুন। এভাবে অনেক দিন গুড় ভালোভাবে সংরক্ষন করা সম্ভব। 

উপসংহার

আমি সবসময় চেষ্টা করি খাঁটি খেজুরের গুড় ব্যবহার করতে কারণ এটা শুধু স্বাদেই ভালো নয় বরং শরীরের জন্য এক প্রাকৃতিক শক্তি। বাজারে অনেক ভেজাল গুড় থাকায় খাঁটি গুড় চেনা খুব জরুরি। তাই আমি সবসময় রঙ, গন্ধ, স্বাদ এবং ঘনত্ব পরীক্ষা করে গুড় কেনার চেষ্টা করি। আপনারাও চেষ্টা করবেন গুড় ভালোভাবে পরিক্ষা করে গুর কেনার। 

টিপস হিসেবে বলব-দৈনন্দিন খাবারে দুধ বা চায়ের সঙ্গে খেজুর গুড় মেশান, পিঠা বা ডেজার্টে ব্যবহার করুন। গুড় সংরক্ষনে কাচ বা স্টিলের পাত্রে ঠান্ডা, শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন। ছোট ছোট পাত্রে ভাগ করে রাখলে আর্দ্রতা কম হয় এবং দীর্ঘদিন ভালো থাকে। সচেতন থাকলেই খেজুর গুড় আমাদের স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুটোই দিতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উদায় ফ্লোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

Md. Saleh Ahammad Uday
Md. Saleh Ahammad Uday
একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট। আমি অনলাইন ইনকাম, ব্লগিং, SEO ও টেকনোলজি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করি। আমি অনলাইন বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে মানুষকে সাহায্য করি।