মধু ও রসুন খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় মেনে এসেছে। তার মধ্যে উন্নতম হলো মধু ও রসুন। যা একসাথে খেলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে, রক্ত পরিষ্কার করে, টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে, ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন নিরাময় এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধু হচ্ছে প্রকৃতির দেয়া সবচেয়ে অন্যতম উপহার এবং রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এই দুটোই শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এই উপকারী খাবার খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
পেজ সুচিপত্রঃ মধু ও রসুন খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
- মধু ও রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- মধু ও রসুন যেভাবে সংরক্ষণ করবেন
- মধু ও রসুনের পুষ্টি উপাদান
- মধু ও রসুনের খাওয়ার উপকারিতা
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- হৃদ রোগের ঝুকি কমায়
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে
- হজমের সমস্যা দূর করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ত্বক ও চুলের যত্নে
- ইরেকটাইল ডিসফাংশন
- প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন
- ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে
- মধু ও রসুনের খাওয়ার সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মধু ও রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম
মধু ও রসুন যেভাবে সংরক্ষণ করবেন
- মিশ্রনটি তৈরি করার জন্য কাচা রসুন ৮-১০ কোয়া খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। এবার রসুনগুলোকে একটি পরিস্কার কাচের জারের মধ্যে রাখবেন। খেয়াল রাখবেন যেন জারের মধ্যে পানি না থাকে। রসুন গুলোকে জারের মধ্যে দিন এবার চার ভাগের দুই ভাগ মধু ঢালুন। এবং জারের একভাগ অবশ্যই খালি রাখবেন। দিয়ে জারের মুখ বন্ধ করে রেখে দিন ৭ দিন।
- ৭ দিন পর জারের মুখটি খুলুন। দেখবেন রসুনের রং সাদা থেকে সোনালি হয়ে যাবে। এখন চাইলে আপনি প্রতিদিন এক চামচ করে খেতে পারেন। কিন্তু বেশি দিন সংরক্ষন করতে এক সপ্তাহ পরে জারের মুখ খুলে ভিতরের গ্যাস বের করে দিয়ে আবার লাগিয়ে দিন। এইরকম ভাবে ১-২ মাস রাখুন। এক্ষেত্রে কিছুদিন পর পর জারের মুখ খুলে ভিতরের গ্যাস বের করে দিতে হবে নয়ত গ্যাসের প্রেসারে জারটি ফেটে যেতে পারে।
- এখন আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন। হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে কাশি নিরাময় হবে। সাথে কালোজিরাও যুক্ত করতে পারেন। তবে সকাল বেলাতে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- এভাবে সংরক্ষণ করলে ১ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে আর বেশি সময় সংরক্ষন করতে ফ্রিজে রাখুন এতে ৩ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। সবসময় কাচের জারে সংরক্ষন করার চেষ্টা করবেন। চামচ দিয়ে তুলে খাওয়ার ক্ষেত্রে শুকনো চামচ ব্যবহার করবেন। পানির স্পর্শে আসলে তারাতারি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর ভেজাল মধু ব্যবহার করলে রসুনের রং কালো হয়ে যেতে পারে এবং গন্ধ ছড়ায়। এই বিষয় গুলো অবশ্যই খেয়ালে রাখবেন।
মধু ও রসুনের পুষ্টি উপাদান
রসুনে আছে:
- ভিটামিন বি-৬
- ভিটামিন সি
- ম্যাঙ্গানিজ
- সেলেনিয়াম
- ফাইবার
- অ্যালিসিন
মধুতে আছে:
- প্রাকৃতিক চিনি
- ভিটামিন
- মিনারেল
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- এনজাইম
- অ্যামিনো অ্যাসিড
মধু ও রসুনের খাওয়ার উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
মধু ও রসুন চমৎকারি ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রসুনে থাকা অ্যালিসিন ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস ধ্বংস করে। রসুনকে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক বলা হয়ে থাকে। শরীরের কোন অংশ ক্ষত হলে ক্ষতস্থানে রসুন পেস্ট করে বা খেলে দ্রত নিরাময় হয়। তাছাড়া মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি নিয়মিত খেলে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর সহ নানান রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। রসুন ও মধু একসাথে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে এই সকল রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায় এবং দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়।
হৃদ রোগের ঝুকি কমায়
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে
হজমের সমস্যা দূর করে
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ত্বক ও চুলের যত্নে
ইরেকটাইল ডিসফাংশন
প্রিম্যাচিউর ইজাকুলেশন
ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে
মধু ও রসুনের খাওয়ার সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- একবারে বেশি রসুন খেলে পেট জ্বালাপোড়া, বমি বা গ্যাস হতে পারে।
- গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেলে সাবধান থাকতে হবে।
- রসুন খেলে অনেক সময় মুখ থেকে র্দুগন্ধ হতে পারে।
- প্রতিদিন ১-২ কোয়া রসুন খাওয়া যথেষ্ঠ।
- অবশ্যই খাটি মধু খাবেন।
উদায় ফ্লোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url